বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও উৎসবের সঙ্গে শাড়ির একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। পূজা, ঈদ, পহেলা বৈশাখ, নবান্ন কিংবা বিয়ে—প্রতিটি উৎসবেই শাড়ি নারীর প্রথম পছন্দ। প্রতিটি উৎসব অনুযায়ী সাজসজ্জার ধরনেও থাকে বৈচিত্র্য।
পূজায় শাড়ির সাজ
-
শাড়ি: সাধারণত সাদা-লাল বর্ডার শাড়ি পূজার প্রধান পরিচায়ক।
-
অলংকার: বড় সোনার টিকলি, ঝুমকা, বালা।
-
মেকআপ: হালকা বেস, বড় টিপ ও লাল লিপস্টিক পূজার সাজে অপরিহার্য।
ঈদে শাড়ির বৈচিত্র্য
-
শাড়ি নির্বাচন: কাতান, সিল্ক, সিফন – ঈদে ঝলমলে কাপড় জনপ্রিয়।
-
স্টাইল: বেল্ট দিয়ে শাড়ি বাঁধা, লেয়ারড ব্লাউজ বা ফিউশন শাড়ি ঈদে দেখা যায়।
-
গয়না: কানের দুল, হাতের চুড়ি ও গলায় হালকা নেকপিস।
পহেলা বৈশাখ ও নবান্নে সাজ
-
রঙ: লাল-সাদা, হলুদ-সবুজ, ন্যাচারাল কটন শাড়ি।
-
স্টাইল: ফুলের গয়না, খোঁপা, হাতে আলতা—এ সবই ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি।
বিয়েতে শাড়ি
-
বিয়ের কনে: লাল বা গাঢ় রঙের কাতান বা জামদানি।
-
অতিথিরা: নেট, সিল্ক বা হালকা কাতান শাড়ি বেছে নেন।
-
মেকআপ ও গয়না: ভারী সাজসজ্জা, কনট্যুর মেকআপ ও স্টোন সেট গয়না।
উপসংহার
শাড়ি আমাদের উৎসবের আবহ তৈরি করে। এটি কেবল ফ্যাশন নয়, বরং স্মৃতি ও ঐতিহ্যের বাহক। প্রতিটি শাড়ি যেন বলে দেয় একটি গল্প—নারীর, উৎসবের এবং ভালোবাসার।